খুলনা বিভাগে স্যানিটেশনের হার ৭৯ শতাংশ, তথ্য কর্মশালা’র

খুলনা বিভাগে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারীর হার ৭৮ দশমিক ৬৫ ভাগ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ’র কারণে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে কর্মশালায় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৪ উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এনজিও ফোরাম’র সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ সকালে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল হান্নান বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস.এম ওয়াহিদুল ইসলাম ও আনসার ও ভিডিপির বিভাগীয় পরিচালক মোঃ আকবর আলী। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন এনজিও ফোরামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক খোন্দকার রাকিবুজ্জামান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর আব্দুল্লাহ হারুন।

কর্মশালায় উপন্থাপিত স্যানিটেশন পরিস্থিতিতে দেখা যায় ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী খুলনা বিভাগে স্যানিটেশন কভারেজের হার ৭০ দশমিক ৬৫ ভাগ যা ২০০৩ সালে ছিল ৩৪ দশমিক ৪৩ ভাগ। বর্তমানে জেলাওয়ারী হিসাবে খুলনা জেলায় স্যানিটেশন কভারেজ ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ, সাতক্ষীরায় ৮০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং বাগেরহাটে ৮৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। যশোর জেলায় ৭৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ, মাগুরায় ৯০ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৮৪ দশমিক ১২ শতাংশ। কুষ্টিয়া জেলায় স্যানিটেশন কভারেজ ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, মেহেরপুরে ৭৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৬১.৬০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে পরিবারের সংখ্যা ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪টি। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করা পরিবারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫২ হাজার ১৩৩টি। আজকের এই দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল স্যানিটেশনের অভ্যাস করি, সুস্থ সবল বাংলাদেশ গড়ি। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে হাত ধোয়া কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পানির অপচয় রোধ এবং পরিকল্পিত ব্যবহার করে নিরাপদ পানির সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে দেশে প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ শিশু মারা যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে একই কারণে শিশু মৃত্যুর হার ছয় শতাংশ। বক্তারা আরও বলেন, শতভাগ স্যানিটেশান ব্যবস্থা অর্জনের জন্য জনগণের আচরণগত পরিবর্তন আবশ্যক।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *