দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কাজ করছি- শিল্পমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ দুপুরে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী পরিদর্শন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশের সকল শিল্প-কারখানা জাতীয়করণ এবং শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। যা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও করতে পারেনি।

তিনি বলেন, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের বন্ধ কল-কারখানাগুলো পুনরায় চালু করছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী চালুর ব্যাপারে তিনি ও তাঁর মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আইনি জটিলতাগুলো দ্রুত নিরসন করে এ ফ্যাক্টরী অল্প সময়ের মধ্যে চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দাদা ম্যাচ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলখোশ ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শাহাদৎ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী চালুর জোর দাবি জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি যৌথ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় সুইডিস কোম্পানী। সুইডিস কোম্পানী লাভজনক ভাবে পরিচালনা করার পর তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১৯৯৩ সালে ভাইয়া গ্রুপের কাছে পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। ভাইয়া গ্রুপ ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট শ্রমিকদের ১০ মাসের বেতন বকেয়া ও পিএফ গ্রাচুইটির টাকা পরিশোধ না করে মিলটি বন্ধ করে দেয়।

অতঃপর ২০১১ সালের ৫মার্চ খুলনার খালিশপুর প্রভাতী স্কুল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী পুনরায় ফ্যাক্টরীটি বিসিআইসি’র মাধ্যমে চালুর ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক দাপ্তরিক আদেশে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মিলটির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তিসহ সকল কিছু ইনভেন্টরির মাধ্যমে বুঝে নেন।

বিকেলে মন্ত্রী খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলস ও খুলনা হার্ডবোর্ড মিলস পরিদর্শন এবং সন্ধ্যায় খালিশপুর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *