অপরিকল্পিত রাস্তা সংস্কার, বৃষ্টিতে শত শত বাড়িতে ঢুকে পড়েছে ড্রেনের কাদা-পানি রাস্তায় জমে আছে জল

বৃষ্টির আটকেপড়া পানিতে তলিয়ে গেছে নিরালা আবাসিক এলাকার বেশকিছু রাস্তা। শতাধিক বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নগরীর এ অভিজাত এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আর এ সবই হয়েছে আবাসিক এলাকার রাস্তার অপরিকল্পিত সংস্কারের ফলে। এ অভিযোগ এলাকাবাসির।

খুলনা মহানগরীর অভিজাত আবাসিক এলাকা নিরালা যখন গড়ে ওঠে তখন এর প্রতিটি বাড়িই ছিলো রাস্তাগুলি থেকে ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি উচুতে, ফলে যতই বৃষ্টি হোক না কেন কখনই বাড়িগুলির ভিতরে পানি ঢোকে নি। শুরু থেকই এ আবাসিক এলাকার ড্রেনগুলি ছিলো প্রয়োজনের তুলনায় সরু ও অপর্যাপ্ত। পরবর্তিতে দীর্ঘদিন ড্রেনগুলি সংস্কারের অভাবে প্রায় ৯০ শতাংশ ড্রেন অকেজো হয়ে পড়ায় (যা এখনও একই অবস্থায় আছে) কিাছু কিছু রাস্তায় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে পানি জমতে থাকে। এক পর্যায়ে কেসিসি সংস্কারের নামে ড্রেন সংস্কার না করে নিরালা এক নম্বর সড়ক এক বারে পূর্বের চেয়ে ২০ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করে। এর ফলে এ সড়কের পার্শ্ববর্তী সড়কগুলি গড়ে প্রায় ৭/৮ ইঞ্চি নিচু হয়ে যায় এবং এ সকল রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমতে থাকে এবং এর পাশের বাড়িগুলিতে বৃষ্টির পানি ঢুকতে থাকে।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের শুরুতে নিরালার ৭/৮ টি সড়কের সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় যার প্রত্যেকটি সড়ক কোন নিয়ম-নীতির তোয়ক্কা না করে পূর্বের চেয়ে ২০ থেকে ২২ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করা হয়েছে এবং এ সংস্কারের কাজ এখনও চলছে।

এলাকাবাসির অভিযোগ, এ লাকার বাস্তবতা উপেক্ষা করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন সংস্কার না করে কেসিসি’র প্রকৌশলীদের স্বেচ্ছাচার ও নিয়ম বহির্ভূত সড়ক সংস্কারের ফলেই নিরালায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে শতাধিক বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকছে এবং রাস্তায় স্থায়ী ভাবে জল জমে থাকছে।

নগরীর সোনাযাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর সড়কের বাসিন্দা সেলিমআনন্দ একজন বৃস্টি প্রেমি মানুষ, কিন্তু এখন আকাশে মেঘ দেখলেই তিনি আতংকিত হযে পড়েন, কারণ বৃষ্টি হলেই তার বাড়ি ভরে যায় ড্রেনের কাদা-পানিতে। পানি এক সময় চলে গেলেও ড্রেনের কাদায় সয়লাব হয়ে থাকে সমগ্র বাড়ি যা পরিস্কার করা অসম্ভব।

তার অভিযোগ, তার বাড়ির সামনের রস্তাটি আগে বাড়িগুলির চেয়ে নিচু ছিলো, কিন্তু গতবছর কেসিসি এই রাস্তাটি আগের চেয়ে একবারে ২০ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করেছে যে কারণে বৃষ্টি হলেই রাস্তা ও ড্রেনের সকল কাদা-পানি আশপাশের বাড়িগুলির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। একই ভাবে পাশের সোনাডাঙ্গা মসজিদের সামনের রাস্তাটিও একবারে আগের চেয়ে ২০/২৫ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করায় আশপাশের বাড়ি ও রাস্তাগুলিতে পানি জমে যাছে এবং রাস্তাগুলি ধ্বংস হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবৎ কেসিসি সমগ্র নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ ভাবে অনেকগুলি রাস্তা হঠাৎ করেই একবারে আগের চেয়ে ২০/২৫ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করেছে যার ফলে রাস্তাগুলি মূলত বাধে পরিণত হয়ে নিজেই পানি নিস্কাশনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং সংস্কার করা এ সকল রাস্তার আশপাশের রাস্তাগুলিতে জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে অতিদ্রুত রাস্তাগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *