গত বুধবার বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাবে আগামী ২০১৫-১৬ জাতীয় বাজেটে খুলনার উন্নয়নে অধিক অর্থ বরাদ্দের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উন্নয়ন কমিটির মহাসচিব শেখ মোশাররফ হোসেন লিখিত বক্তেব্যে বলেন ” আমাদের এ অঞ্চলে রয়েছে যথেষ্ঠ সম্পদ ও উন্নয়নের সুযোগ। পৃথিবীর সব থেকে বড়ো একক ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের মধু এবং বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদ, ঊর্বর জমি, বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত পাট, বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র বন্দর, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইপিজেড, বাংলাদেশের উপকূলের সবথেকে গভীর এলাকা – সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড; এসব কিছুই থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চল আজও অনুন্নত।”
খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস, বিমান বন্দর স্থাপন, মংলা বন্দর আধুনিকায়ন ও আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্রবন্দর খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা স্টেডিয়াম সংস্কার, খুলনা-দর্শনা ডবল লাইন রেল পথ, বন্ধ কলকারখানা চালু, শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ, ভোমরাকে আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর, খুলনা টেক্সটাইল পল্লী ও আই টি পার্ক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ সরকারিকরণসহ খুলনা উন্নয়নের ১৮ দফা দাবী সমূহ সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন রূপসা সেতু থেকে রুজভেল্ট জেটি হয়ে র্যালিগেইট পর্যন্ত রূপসা ও ভৈরব নদীর তীর ঘেষে রিভার ভিউ পার্ক ও সড়ক নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। এতে খুলনা শহরের যাতায়ত ব্যবস্থা অত্যাধুনিক পর্যায়ে পৌছাবে, যানজট নিরসন হবে, খুলনায় সর্ববৃহৎ পর্যটনকেন্দ্র স্থাপিত হবে এবং নদীর পাড়ে বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্র গুলো বহুমাতৃক রূপ লাভ করবে এবং নতুন করে ব্যবসায়ীদের জায়গার সংকুলান হবে। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি ফ্লাড লাইট ও টেষ্ট ভ্যেন্যুর মর্যাদা পেলেও হারিয়ে যাচ্ছে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামটি।
বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য নির্ধারিত হলেও ফুটবল, এ্যাথলেটিকসহ সকল ধরনের ক্রীড়ার জন্য জেলা স্টেডিয়ামটিই একমাত্র ভরসা। কিন্তু বিগত এক দশকে এ স্টেডিয়ামটির কোনো সংস্কার বা উন্নয়ন করা হয় নি। জরাজীর্ণ এ স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের প্রায় অযোগ্য হয়ে আছে। খুলনা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে আছে। শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণে নানা আশাবাদ শোনা গেলেও কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। নির্ধারিত জায়গাটি নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রের শুরু হয়েছে। ফলে এ ভবন নির্মাণের আশা সুদূর পরাহত। এসব দাবিতে আগামী ০৬ মে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ