জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিল্লাল হোসেন খানের প্রত্যাহার দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা বটিয়াঘাটা। অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলাবাসীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ, ঝাড়ু মিছিল ও ইউএনও’র কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সমাবেশ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউএনও কে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটমও দেওয়া হয়। প্রত্যাহার না হওয়ায় শনিবার থেকে তিন দিনের কর্মসূচি পালন করছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, শনিবার খুলনা প্রেস ক্লাবে ছাত্র লীগের সাংবাদিক সম্মেলন, রবিবার যুব লীগ ও সোমবার স্বেচ্ছা সেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ কঠোর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ইউএনওকে প্রত্যাহার করা না হলে সাধারণ মানুষ আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে গোটা উপজেলা অচল করে দিবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা ইউএনও’র দালাল কামরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মাদক সম্রাট প্রতাপ ঘোষ ও ইউএনও’র সহকারী রমেশ ঘোষ সহ ৪/৫ জন’র পরামর্শে ইউএনও বিল্লাল হোসেন খান সাধারণের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৬ জুলাই ২৮ রমজান চায়ের ষ্টলে অনুপ কুমার মন্ডল নামে এক অধ্যাপক রুটি কলা খাওয়ার সময় ইউএনও’ বিল্লাল হোসেন খান তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ২০ জুলাই সহস্রাধিক মানুষ ইউএনও’র প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন করে। সংবাদটি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রচার হলে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন শুরু করে বিল্লাল। তাদের উপর একের পর এক সাজানো মামলা দিয়ে হেনাস্তা করা হচ্ছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউএনও’র নির্দেশে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি সম্বলিত প্যানা পোষ্টার ব্যানার ভেঙ্গে ডাষ্টবিনের ট্যাংকির উপর রাখার অভিযোগ এনে ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক অরিন্দম গোলদার বাদী হয়ে ইউএনও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত খুলনা পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) উপর তদন্ত দিয়েছে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ