ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্ষদ ,খুলনার আয়োজনে ঐতিহ্য সংরক্ষণ কর, নদী দখল ও দূষণ বন্ধ করতে হবে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার সকালে খুলনা জেলখানা ঘাট থেকে যশোরের সিদ্ধিপাশা , ধুলগ্রাম পর্যন্ত নৌকাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
নৌকাযাত্রার প্রাক্কালে ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্ষদের বক্তারা বলেন, একটি অঞ্চলের সভ্যতা কতটুকু সমৃদ্ধ সেটা বোঝা যায় সে অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে। খুলনা অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত বছরের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। এগুলো আজ অবহেলা অযত্নে এবং এক শ্রেণীর ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের শশুর বাড়ী এবং তার পৈতৃক মূল বসত ভিটা পিরালী ব্রাহ্মণদের বসত বাড়ী এখানেই রয়েছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের বাড়ী এই অঞ্চলেই। এই ঐতিহ্যবাহী বাড়ীগুলো এখন ধ্বংসের পথে। নদী দখল করে ভূমিদস্যুরা নিজ স্বার্থে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। নদীতে কারখানা বর্জ্য ফেলে নদীকে ধ্বংস করছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীর নব্যতা হারিয়ে যাবে। নদীর মানচিত্র থেকে বাদ পড়তে শুরু করবে অনেক নদীর নাম।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক এ সকল নিদর্শন সংরক্ষণে সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি স্থানীয় পর্যায়ের নাগরিক সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন রেনি সাহেবের নীলকুঠি, রাণী অভয়ানগরের এগারো মন্দির, পাঁচ’শ বছরের পুরাতন ধুলগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রঘুনাথ মন্দির, সিদ্ধিপাশার মিয়াপাড়া মসজিদ, খানজাহান আলী পরগণার বাসুরিয়ার দীঘিসহ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান আছে যা সংরক্ষণ করতে হবে। এই দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আবহমানকালের পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে হলে আমাদের পুরাতন ঐতিহ্য তথা অঞ্চলের আনাচে কানাচে যে সকল প্রত্ন সম্পদ আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। এই প্রত্ন সম্পদের সাথেই জড়িয়ে আছে আমাদের অতীত ঐতিহ্য-আচার আচরণ-কৃষ্টি-সংস্কৃতি। নেতৃবৃন্দ এসব স্থানে যেয়ে নাগরিকদের সচেতনা রক্ষার জন্য মতবিনিময় করেন।
যাত্রার প্রাকালে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক এ্যাড: আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু। সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেনের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা, ল’কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল রাজ, ডা: আমিরুল খসরু, শামীমা সুলতানা শীলু, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, বাংলাদেশ নাগরিক অধিকারের সাইদুর রহমান পিন্টু, আধ্যাপিকা রমা রহমান প্রমুখ।
![Share on Facebook facebook](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/facebook.png)
![Share on Twitter twitter](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/twitter.png)
![Share on Google+ google_plus](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/google_plus.png)
![Share on Reddit reddit](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/reddit.png)
![Pin it with Pinterest pinterest](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/pinterest.png)
![Share on Linkedin linkedin](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/linkedin.png)
![Share by email mail](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/mail.png)
![feather](https://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/icon.png)
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ