১৯৭১’র ১ এপ্রিল ভোরবেলায় খুলনাবাসীর ঘুম ভাঙ্গে মহাদের চক্রবর্তীসহ ছয় জনকে হত্যার খবর শুনে। এটি ছিল খুলনা শহরে পাকিস্তানী সেনা কর্তৃক পরিকল্পিত গণহত্যার প্রথম ঘটনা। এতে খুলনা শহরসহ আশেপাশের এলাকাবাসীর মধ্যে ভয়ানক ভীতি সঞ্চারিত হয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা দলে দলে শহর ছাড়েন। মানুষের ভাবনায়ও ছিল না যে, মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অকৃতদার মহাদেব চক্রবর্তীকে পাকিস্তানী সেনারা খুন করতে পারে! অথচ তাই ঘটেছিল। আলতাপোল লেনের মাথায় সাউথ সেন্ট্রাল রোডে সাতজনকে গুলি করে ফেলে রাখা হয়েছিল যাদের মধ্যে একজন বেঁচে গিয়েছিলেন। মুত্যুবরণ করেছিলেন ছয় জন- মহাদেব চক্রবর্তী উদ্ভব, মহাদেব চক্রবর্তীর বাড়ির কর্মী, অ্যাডভোকেট নকুলেশ্বর চক্রবর্তীর দুই ছেলে (নাম জানা যায়নি), অজ্ঞাতনামা আরও দুই জন।
মহাদেব চক্রবর্তীর বাড়িতে পরবর্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশে পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়িটি প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যা ব্যবহারনুপযোগী হওয়ায় ২০১৪ সালে অপসারণ করা হয়েছে।
১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’র উদ্যোগে গণহত্যাস্থল, বধ্যভূমি, নির্যাতন কেন্দ্র চিহ্নিতকরণ ও স্মৃতিফলক স্থাপনের অংশ হিসেবে সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে। স্মৃতিফলক উদ্বোধন করবেন ইতিহাসবিদ ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’র সভাপতি প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ