বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ প্রকৃচি-বিসিএস ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল গ্রুপ কালো ব্যাজ ধারণ ও পতাকা হাতে নগর প্রদক্ষিণ করেন।
বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল, সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকুরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার নন-ক্যাডার বৈষম্যের সিদ্ধান্ত বাতিল, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল, ইউএনও-কে কর্তৃত্ব প্রদানমূলক মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অফিস স্মারক অবিলম্বে বাতিল, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুপারনিউমারারি পদ সৃজন, নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বহির্ভূত সকল ধরনের প্রেষণ বাতিল ও কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তোলার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রকৃচি-বিসিএস ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল গ্রুপ সমন্বয় কমিটি খুলনার আহ্বায়ক ডাঃ শেখ বাহারুল আলমের নেতৃত্বে খুলনার শিব বাড়ি চত্বর হতে সর্বস্তরের পেশাজীবীরা কালো ব্যাজ ও পতাকা হাতে নিয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়- পিকচার প্যালেস- বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে পদযাত্রা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পেশাজীবী মঞ্চে মিলিত হন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি, নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল গ্রুপের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পেশাজীবীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সারাদেশে পেশাজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে গত ২৭-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সমাবেশে ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, পেশাজীবীর বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্ব বিলীন না হলে মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমান আমলারা উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে ৮ম জাতীয় পে স্কেলে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। নন-ক্যাডার অফিসারদের বেতন স্কেল ক্যাডার অফিসারদের থেকে এক ধাপ কমিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পেশাজীবীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। তিনি ষড়যন্ত্রকারী এ সকল কুচক্রী আমলাদের চিহ্নিত করার জন্য জননত্রেী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন। তিনি পহেলা জানুয়ারী কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তা সর্বাত্মক সফল করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।
সমাবেশে সদস্য-সচিব ফারুক-ই-আজম মুঃ আঃ সালামের সঞ্চালনায় কৃষিবিদ ডাঃ অরুন কান্তি মন্ডল, ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, প্রকৌঃ ডঃ সোবহান মিয়া, ডাঃ জাকির হোসেন, এস এম তৌহিদুজ্জামান, ডাঃ মন্জুর মোর্শেদ, আহমেদুল কবির চাইনীজ, ডাঃ তুষার আলম, ইন্টার্নি ডাঃ তন্ময়, শামীম হোসেন, ডাঃ সুফিয়ান, হারুন-অর-রশীদ, কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র রায়, কৃষিবিদ রিয়াজুল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সমাবেশে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা নার্সিং ইনস্টিটিউট, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসহ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ