আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খুলনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে নারীদের কাজ করতে হবে। সকল প্রকার স্বার্থ ত্যাগ করে ব্যক্তির, সমাজের ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নারীদের রক্ষা করার জন্য তাঁদেরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বেগম রোকেয়ার জীবনের ওপর আলোকপাত করে তিনি আরও বলেন, একজন নারীকে প্রতিকূল পরিবেশ পার করে কিভাবে এগুতে হয় সেটা বেগম রোকেয়া দেখিয়েছেন। তাঁকে সামনে রেখে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। মায়েদেরকে শিক্ষিত হতে হবে। নিজেকে নারী হিসেবে না ভেবে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই শোচনীয়, তাই এটা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য আজও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি বরং বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য নারীদের শিক্ষিত ও সচেতন হতে হবে। শিক্ষা ছাড়া নারীর উন্নয়ন যে সম্ভব নয়, বেগম রোকেয়া তা বুঝেছিলেন ১শ’ বছর আগেই। আজ বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে অগ্রযাত্রা তা বেগম রোকেয়ারই অবদান।
উল্লেখ্য, বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরে জন্মগ্রহণ এবং ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সভায় বিপুল সংখ্যক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠনের নির্বাহী প্রধান এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সৈয়দা লুৎফুন নাহার এবং খুলনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট অলোকা নন্দা দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নার্গিস ফাতেমা জামিন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ