মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভাগীয় শহর খুলনাতেও সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রত্যুষে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে।
ওইদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। পরে একইস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড কর্তৃক কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
ওইদিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আয়োজন করা হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। সকাল ১১টায় নগরীর সিনেমা হলসমূহ ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে। দুপুর একটায় হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু সদন ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দু’টা হতে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।
বেলা সাড়ে তিনটায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ এবং বিকেল চারটায় খুলনা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম কেসিসি একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হবে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল আটটা হতে বিকেল চারটা পর্যন্ত নগরীর নির্দিষ্ট স্থানসমূহে সংগীত পরিবেশন করা হবে।
ওইদিন সকাল ১০টা হতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শন করা হবে। সকাল হতে রাত পর্যন্ত কেসিসি এলাকার সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও রং বে-রঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ভবন সমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।
২৪ মার্চ শিশু একাডেমীতে বিকেল চারটায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ও ২৫ মার্চ উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলবে সকাল ১০টা হতে রাত আটটা পর্যন্ত এবং ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় একই স্থানে বসবে কবিতা পাঠের আসর। শিববাড়ী মোড়ে বিসিক ভবন চত্বরে ২৬ হতে ২৮ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ