খুলনা জেলার প্রধান খাদ্য সংরক্ষণাগার খুলনা সিএসডি সহ জেলার সর্বত্র সরকারী চাল ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎকোচ’র মাধ্যমে বাজার থেকে পুরাতন চাল ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে কতিপয় মিল মালিক এবং খাদ্যক্রয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারগণ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
২০১৫ সালের মে থেকে ৩১ আগস্ট (সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে) পর্যন্ত খুলনা জেলার ১৩৮টি গুদামের জন্য প্রায় ৭৮৬৬ টন চাল ক্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রককে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলার দুইটি গুদামের জন্য তিনটি মিলের সাথে ১১৭ টন, ডুমুরিয়া উপজেলার চারটি গুদামের জন্য ২০টি মিলের সাথে ১২১৮ টন, পাইকগাছার দুইটি গুদামের জন্য সাতটি মিলের সাথে ১৫৫ টন, তেরখাদার দুইটি গুদামের জন্য ১৪২ টন, বটিয়াঘাটার একটি গুদামের জন্য ২৩টি মিলের সাথে ৯৮৪ টন, ফুলতলার একটি গুদামের জন্য ২৩টি মিলের সাথে ১৮০৭ টন, আলাইপুরে একটি গুদামের জন্য ১৪টি মিলের সাথে ৮২৮ টন, খুলনা মহেশ্বরপাশার ৫৯টি গুদামের জন্য ১৬৮১ টন এবং খুলনা সিএডি’র ৬৪টি গুদামের জন্য ৯৩৪ টন চাল ক্রয়ের চুক্তি হয়।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের হিসেব মতে ১২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৫৪০৮ টন চাল ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারী চাল ক্রয় সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিল মালিকের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, প্রায় প্রত্যেক এলাকার চাল ক্রয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সরবরাহকারীগণের নিকট থেকে কেজি প্রতি ২/৩টাকা উৎকোচ নিয়ে হাজার হাজার টন বাজারের ‘পুরাতন’ চাল সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সিএসডি গোডাউন’র নিয়ন্ত্রক আঃ মান্নান তালুকদার সহ মহেশ্বরপাশার রেজাউল ইসলাম, আলাইপুরের আশরাফুল আলম, ফুলতলার আশরাফুজ্জামান, ডুমুরিয়ার আনন্দ কুমার দাশ, পাইকগাছার কামরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটার রওশন আলী সকলেই পুরাতন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের কথা অস্বিকার করেন।
চাল সংগ্রহে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ সেলিমুল আজম বলেন, ‘ বিস্তির্ণ এলাকায় চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে, তবে অবশ্যই অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।’
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ