আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ দুপুরে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব তারিক-উল-ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন নারীর অবদান আমাদের কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করে, তেমনি জাতি গঠন ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীর ভূমিকা জয়িতার আসন অলংকৃত করেছে। বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে বহুবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে যা নারীর অধিকার সংরক্ষণ ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। নারীর অধিকার অর্জন ও স্বীকৃতি আদায়ের অন্যতম মাধ্যম হলো শিক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তি। নানা প্রতিকূলতা ও বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে যেসব নারী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়েছেন তাদের সম্মানিত করতেই এ আয়োজন। তৃর্ণমূলে আরও যেসব নারীরা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছেন ভবিষ্যতে তাদেরও স্বীকৃতি দিতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে তিনি তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীদের মধ্যে থেকে খুলনা বিভাগের নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’সহ মোট ৫০জন ‘জয়িতা’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাঁচটি ক্যাটাগরীতে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী’ চুয়াডাঙ্গার সুফিয়া খাতুন লতা, ‘শিক্ষা ও চাকুরীক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী’ খুলনার ওয়াহিদা আক্তার শিলা, ‘সফল জননী নারী’ খুলনার শ্যামলা বালা রায়, ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু’ মংলার লিপি বেগম এবং ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায়’ খুলনার ফেরদৌসী আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্তি বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) অশোক কুমার বিশ্বাস এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। এতে খুলনা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন অফিসারগণ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ