দেশের ২২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততাসংঘ গঠন করা হবে। নিজেদেরকে দুর্নীতি হতে দূরে রাখা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ করাই হবে সততাসংঘের কাজ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান (দুদক) মোঃ বদিউজ্জামান ১৯ আগস্ট সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে, ন্যায়ভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এই সেমিনারের আয়োজন করে। বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২২টি জেলা থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪টি জেলায় দুদক কার্যালয় স্থাপন করা হবে। এর ফলে জনগণ তাদের অভিযোগগুলো সহজে দুদককে জানতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দুর্নীতির র্যাংকিং থেকে আমরা সামান্যমাত্র এগিয়েছি। সকলের সহযোগিতা নিয়ে, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে শক্তিশালী করে এবং সততাসংঘগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সামানের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।
তবে দুদকের এই উদ্যোগ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের প্রশ্ন স্কুলের ছেলে-মেয়েরা কি মিথ্যাচারী ? নিশ্চই নয়। তারা বড় হয়ে যখন ‘সরকারী’ দপ্তরের চাকুরীতে ঢোকে তখনই তারা মিথ্যাচার করে ‘ঘুষ’ গ্রহণের জন্য। বরং এ উদ্যোগ শিশুদের মনকে সন্দিহান ও দোদুল্যমান করে তুলবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হক এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
সেমিনারে অংশ নেয়া কর্মচারীরা বলেন, সময়মতো দপ্তরে আসা, সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে ভাল আচরণ ও সময়মতো সেবা প্রদান, সর্বোপরি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সততার চর্চাকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।
তবে ঘুষ গ্রহণের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলেন নি।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ