‘বিচারপতির বাড়ি দখল করে আওয়ামী লীগ অফিস’ ও ‘অবশেষে দখলমুক্ত হ’ল সেই বাড়ি’ শিরনামদ্বয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে আজ খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জনৈক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩১ মে ও ১ জুন ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় প্রথম পাতায় উল্লিখিত শিরনামে প্রকাশিত সংবাদদ্বয় সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ওই জমি আসলে তার। তিনি ওই জমি ১৯৬৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারী ৬৯৪ নম্বর রেজিস্ট্রি কবলা দলিলে ০.০৯ একর জমির এক তৃতীয়াংশ তার বড় ভাই, উল্লিখিত বিচারপতির পিতা মোঃ সামছুল হক’র বে-নামে ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর ওই জমিতে তিনি তার নিজ দখলে বাড়ি তৈরী করেন এবং শরিকদের লইয়া বসবাস ও ভাড়া প্রদান করিয়াছেন। সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং, বিদ্যুৎ সংযোগ, খাজনা সবই তার নামে আছে।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ওই বাড়ি লইয়া দেওয়ানী, দেওয়ানী আপীল ও মিস কেস’র উদ্ভব হয় এবং উক্ত মামলাগুলিতে তিনি প্রতিপক্ষকে পারাজিত করেন। তার ভ্রাতা উল্লিখিত বিচারপতির পিতা মোঃ সামছুল হক’র স্বত্ব ও দখল না থাকায় তিনি এ সকল মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি। কিন্তু তার ভ্রাতুস্পুত্র হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন প্রকার উৎপাত শুরু করেন এবং তাঁর এক ভ্রাতার নামে বর্ণিত বাড়িতে একখানা সাইনবোর্ড ঝুলাইয়া দেন, যা আসলে বাড়ির মালিকানা সৃষ্টির অপকৌশল।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় তিনি বাধ্য হইয়া উল্লিখিত সম্পত্তি বাবদ ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর তার ভ্রাতা উল্লিখিত বিচারপতির পিতা মোঃ সামছুল হক’র বিরুদ্ধে খুলনা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। এ কারণে তার ভ্রাতুষ্পুত্র বিচারপতি পুলিশের উপর প্রভাব খাটাইয়া তার পুত্র এ্যাডঃ মোঃ নাজমুল হক, শ্যালক ও নাতির নামে আড়ংঘাটা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ ছাড়া তার অন্যান্য সম্পত্তির উপর বিচারপতির নির্দেশনায় বিচারপতির পিতা মোঃ সামছুল হক’র নামে সাইনবোর্ড ঝুলাইয়া হয়রানী করিতেছেন।
তিনি উল্লিখিত সকল নিপিড়ন, নির্যাতন, হয়রানী ও অপপ্রচার থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ