কন্যা শিশুর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর আইন দ্বারা নির্ধারণ করে বৃটিস সরকার ১৯২৯ সালে, অথচ বর্তমান সরকার কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স শর্তসাপেক্ষে ১৬ বছর নির্ধারন করে অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে চায়!
জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম, গার্লস নট ব্রাইড বাংলাদেশ এলায়েন্স, চাইল্ড রাইট্স এডভোকেসি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এবং গার্ল পাওয়ার এলায়েন্স’র উদ্যোগে আজ খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লিখিত অভিযোগ করেন নারীনেতৃ রসু আক্তার।
তিনি বলেন, সরকার প্রস্তাবিত নতুন খসড়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৪-এ একটি নতুন ধারা সংযুক্ত করেছে যাতে বলা হয়েছে যে মাতাপিতার সম্মতিতে এবং আদালতের অনুমতিক্রমে ১৬ বছর বয়সী কন্যাশিশুকে বিবাহ দেওয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ওই শিশু অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে গন্য হবেনা, যা আসলে ১৮ বছরে বিবাহের আইনকেই সম্পূর্ণ অকার্যকর করে দেবে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে প্রায় ১শ’ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আইনেরও পিছে হাটা, যা আসলে একটি প্রতিক্রিয়াশীল সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, নারীদের জীবন ধ্বংসকারী এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের নারী সমাজ মানবে না।
তিনি বলেন, অনেক উদ্যোগ সত্বেও বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ভয়াবহ (৬৫%) আকার ধারণ করেছে। এই সংখ্য সারা পৃথিবীতে চতুর্থ এবং এশিয়ায় প্রথম! যা বাংলাদেশের জন্য একটি লজ্জার বিষয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সহস্রাব্দের লক্ষ্য অর্জনে এবং মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, যা সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন এবং দেশের মানুষের আস্থা কুড়িয়েছে। এ অবস্থায় বাল্যবিবাহ বন্ধে কন্যাশিশুর সঠিক বয়স নির্ধারণে কোন ধরনের আপোষ হবে আত্মঘাতী!
তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ হবে “বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মেয়েদের ন্যুনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করে কোন ধরনের শর্ত আরোপ ব্যতিরেকে খসড়া আইনটি অনুমোদন এবং কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, এর অন্যথা হবে প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদের কাছে সরকারের অত্মসমর্পণ, যা দেশের প্রগতিশীল জনতা ও নারী সমাজ মেনে নেবে না।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ