খাস জমির দখল প্রাপ্তির দাবিতে দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ও কামারখোলা ইউনিয়নবাসির উদ্যোগে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লোককেন্দ্র ফোরাম’র সভানেত্রী সবিতা সরকার।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের ভূমি হারাচ্ছে। এ সকল ভূমিহারা মানুষের মাঝে সরকার খাস জমি বিতরণ করেছে। ১৯৭৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩১৫ একর খাস জমি এলাকার ১৪২টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান করা হলেও আজ পর্যন্ত এ সকল জমির দলিল এবং দখল জেলা প্রশাসন উল্লিখিত পরিবারগুলির নিকট বুঝিয়ে দেয় নি। এ অবস্থায় কেউে কেউ কিছু কিছু জমির দখল পেলেও সিংহভাগ পরিবার তাদের জমির দখল বঞ্চিত।
তিনি বলেন, জমি প্রাপ্তরা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছে, এবং অনেকে জমির মিউটেশনও সম্পন্ন করেছে কিন্তু জবর-দখলকারীদের নিকট থেকে তারা জমির দখল পায় নি এবং জেলা প্রশাসনও তাদের জমি বুঝে দেয় নি, যদিও সরকারের নির্দেশেই জেলা প্রশাসন তাদের মাঝে খাস জমি বিতরণ করেছে!
তিনি বলেন, জমির দখল বুঝে পেতে প্রশাসনের নিকট আবেদন করায় জমির জবর দখলকারীরা তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে, আর দিনমজুরীর টাকায় সন্তানের মুখে ভাত না দিয়ে মামলা লড়তে গিয়ে তারা এখন সব কুল হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ সকল অবস্থার জন্য মূলত জেলা প্রশাসনের অসম্পূর্ণ তথা আধখেচড়া কর্মকান্ডই দায়ী, যা আসলে তাদের অযোগ্যতা। জেলা প্রশাসন একটি খতিয়ান ও দাগের কিছু অংশ খাস ঘোষণা করেছে কিন্তু তা সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করে নি, ফলে অন্য অংশের জমির মালিকরা খাস জমিও দখল করেছে এবং বেচে দিচ্ছে।
যে জমি খাস ঘোষণা করা হয়েছে, আগে সে সকল জমি জেলা প্রশাসন এক সনা ডিসিআর’র মাধ্যমে বন্দোবস্ত দিতো, যা খাস ঘোষণার পরও জেলা প্রশাসন দখল মুক্ত করে নি এবং খাস প্রাপ্তদেরও বুঝিয়ে দেয় নি।
সম্পাদিত খাস কবুলিয়তে জমির পরিমাণ কত তা জেলা প্রশাসন উল্লেখ করে নি, যা এখন জমির দখল নিয়ে হাঙ্গামার অন্যতম কারণ। এমন কি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সময় জেলা প্রশাসন রাস্তা, বন বিভাগের জমি, খাল ইত্যাদিও বন্দোবস্ত দিয়েছে যা বন্দোবস্ত যোগ্য নয়!
এ অবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি তাদের প্রাপ্ত খাস জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ