সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সন্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মংলারে দিগরাজ গ্রামের মোঃ জাকির হেসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার ছেলে দিগরাজ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র নাজমুল হোসেন গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিগরাজ ব্যাংক রোডের সামনে থেকে একই এলাকার ঠিকাদার খোকা তালুকদার ও মিষ্টির দোকানদার তপন ঘোষ’র সাথে মটর সাইকেলে করে মংলায় যায় এবং একটি বার থেকে মদ ও বিয়ার পান করে। এক পর্যায়ে নাজমুল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার সঙ্গিরা তাকে নিয়ে মটরসাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং মংলা ইপিজেড সংলগ্ন চৌরাস্তা এলাকায় রাত ১২টার দিকে তারা স্পীড ব্রেকারে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে তারা পুলিশের টহল গাড়িতে করে ঘটনা স্থলে পৌঁছন এবং একটি নছিমনে মারাত্মক আহত অবস্থায় খোকা ও নাজমুলকে দেখতে পান। এ সময় তিনি খোকার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পরামর্শে আহতদের খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ এ সময় খোকাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, নাজমুলে অবস্থা বর্তমানে আশংকাজনক, তার পাঁচটি দাঁত ভেঙে গেছে এবং নাক-কান দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। বিন্তু একটি মহল খোকার মৃত্যুর পিছনে নাজমুলের হাত আছে বলে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে এবং কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করিয়েছে।
তিনি তার আহত সন্তানকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রাক্ষা করতে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের হস্থক্ষেপের দাবি জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ