“ভিটামিন ‘ এ ‘ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান” শ্লোগান নিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল, শনিবার-২০১৫ সারাদেশে একযোগে পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও মৃত্যু প্রতিরোধ করাই হচ্ছে এ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।
ওই দিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লক্ষ আই.ইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ( দুই লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে। এ সাথে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন’র এক মাস পর ২৪মে/১৫ থেকে ২৩ জুন/১৫ পর্যন্ত দুই-পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের রুটিন ইপিআইসেশনের মাধ্যমে ডিসপারসেবল কৃমিনাশক বড়ি বিতরণ করা হবে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শুধুমাত্র অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এটি নিরাপদ এবং এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, অসুস্থ শিশু এবং গত চার মাসের মধ্যে ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তবে এমন শিশুকে ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
সকল টিকাদান কেন্দ্র সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দেশের যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। ভ্রমণে থাকাকালেও রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট, লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থিত টিকাদান কেন্দ্র থেকেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অবশ্যই শিশুদের ভরাপেটে খাওয়াতে হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ