খুলনায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, শুল্ক আদায়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার দূর্নীতি হ্রাস ও হয়রানি বন্ধে ভূমিকা রাখবে। সরকারি কর্মচারীদের জনগণের কর্মচারী হিসেবে সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে খুলনাস্থ মংলা কাস্টমস হাউস মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মংলা বন্দরের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। অথনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কারণ রাজনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক।
জঙ্গী তৎপরতা সারা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিলো মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন।

সেমিনারে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) হুসেইন আহমেদ, খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ড. মোহাঃ আল-আমিন প্রামাণিক, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট কাজি আমিনুল হক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার কে এম অহিদুল আলম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার পায়েল পাশা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, শুধু শুল্ক আহরণের জন্যই নয়, কাস্টমসকে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। এছাড়া সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও যুগোপযোগী ও সহজীকরণ, ভ্যাটের পরিমাণ না বাড়িয়ে ভ্যাটের আওতা বাড়ানো, অযথা ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করা এবং অফিসারদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনয়নের ওপরও তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘ দিলে সঠিক শুল্ক কর, দেশ হবে স্বনির্ভর।’ সেমিনারে বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে কাস্টমস অফিস প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যা লি বের করা হয়।

by