জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

সারা দেশের ন্যায় খুলনায় আগামী ১৪ নভেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৫ (২য় রাউন্ড) উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এবং কেসিসি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইয়াছিন আলী সরদার।

 সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল ও অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্য প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হয়। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। তিনি আরও জানান ৬-১১ মাস বয়সী সকল  শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।  পাশাপাশি শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে ।

 প্রসঙ্গত, সকল কেন্দ্র ঐদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।  এটি নিরাপদ এবং এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই।  যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে ক্যাম্পেইনে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে খাওয়ানো যাবে না। কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে। দেশের যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।  ভ্রমণে থাকাকালেও রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট, লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থিত টিকাদান কেন্দ্র থেকেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।  ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অবশ্যই শিশুদের ভরাপেটে খাওয়াতে হবে।

 খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ১,৭৬৩টি এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কেন্দ্র সংখ্যা হচ্ছে ৫৮০টি। খুলনা জেলা ও মহানগরী এলাকায় এ বারে মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬-১১ মাস বয়সী ৩০ হাজার দুইশ ৫৮ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী  দুই  লাখ ২৩ হাজার ৯শ ১৪জন।

 মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. তন্ময় প্রকাশ ঘোষ এবং কেসিসি’র মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপন কুমার হালদার এ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন।

 

 

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *