বন বিভাগ নির্ধারিত ৮টি নির্দিষ্ট পথেই শুধু যাওয়া যাবে রাস মেলায়

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ২৪ হতে ২৬ নভেম্বর, তিন দিনব্যাপী রাস পূর্ণিমা পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। পূন্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

বন বিভাগ সূত্রমতে, অনুমোদিত পথগুলো হলো- বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদারগাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী- শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের ২৪ হতে ২৬ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং শুধু দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো দন্ডনীয় অপরাধ। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি (সিরিয়াল) নম্বর লিখতে হবে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত পরিচয় সনদ সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যে কোন অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন সম্পূর্ণ বে-আইনী ও নিষিদ্ধ। কারো নিকট এগুলি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *