ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর ফলে অর্থনীতিসহ শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সূচিত হয়েছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বাঙালী জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে স্বপ্নের সূচনা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপদানকারী।

তিনি আজ বিকেলে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় খুলনা জেলা প্রশাসক এ মেলার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে যে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে তা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর ফলে অর্থনীতিসহ শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে সম্পদশালী দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রেই তোমরাই কান্ডারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উন্নত নাগরিক হতে সকল শিক্ষার্থীকে তাদের প্রযুক্তিগত মেধার বিকাশ ঘটানোর জন্য তিনি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম-এর পরিচালক (ইনোভেশন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ডিজিটাল কার্যক্রমকে সারাদেশে পরিচিত করে তুলতে ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিটি জেলায় এভাবে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের মেলার বিশেষত্ব ই-কমার্সকে জনগণের কাছে অধিক পরিচিত করে তোলা, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা ঘরে বসেই তার পণ্য বিক্রি করতে পারে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় এবং জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকরী এমন উদ্ভাবনী জ্ঞানকে কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারে তার জন্য সহযোগিতা দেয়া।

উল্লেখ্য, এবার সারাদেশে ১০০টি প্রজেক্টকে ফিন্যানসিয়াল সার্পোট দেয়া হবে। ইতোমধ্যে সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে ৯২টি প্রকল্পে ১৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *