তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দ্রুত বিকাশ এবং ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার শারিরিক শ্রম নির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে মেধা ভিত্তিক শ্রম নির্ভর অর্থনীতির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আজ রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প আয়োজিত কুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য ‘টপ আপ আইটি প্রশিক্ষণ’ বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রায় এক লাখ তরুণ-তরুণীকে আইটিতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চাকুরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ সব প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ ও ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এলআইসিটি প্রকল্প বিশ্বমানের প্রশিক্ষণে ৩৪ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক তরুণ-তরুণীকে টপ আপ আইটি এবং নন-আইটি বিষয়ে অধ্যায়নরত ২০ হাজার তরুণ-তরুণীকে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং। টপ-আপ আইটি প্রশিক্ষণ শেষে অন্তত ৬০ শতাংশের কর্মসংস্থান হবে দেশে ও বিদেশে।
শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের দক্ষ করে তোলার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন প্রজন্মকে হতে হবে এক একজন দক্ষ কারিগর। তিনি এ সেক্টরের বিকাশে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাইল করিম এবং কুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ।
অনুষ্ঠানে কুয়েট শিক্ষার্থীদের টপ-আপ আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে কুয়েট এবং এলআইসিটি প্রকল্পের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও হস্তান্তর করা হয়।
পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘ ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচির আওতায় এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত একশ ল্যাপটপ অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ