শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রচলিত শিক্ষা দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্ম তথা ছাত্র সমাজ হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। এ লক্ষ্যে তাদের প্রযুক্তিগত বিদ্যা অর্জনে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ সকালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী কুয়েটকে দেশের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উলে¬খ করে বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও নতুন প্রযুক্তি অর্জনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া। এ লক্ষ্য অর্জনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া। এ জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ভিশন ২০২১। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সে পরিবর্তনের অন্যতম বিষয় হচ্ছে দারিদ্র, অভাব ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়া। ঘোষণা করা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের। দেশে সকল দল-মতের মানুষের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে শিক্ষানীতি। সরকার ইতোমধ্যে দেশে ২৩ হাজার সাড়ে তিনশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছে। বিদ্যুৎ-কে সভ্যতার সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উলে¬খ করে তিনি বলেন, এ জন্য সরকার বিদ্যুৎ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে এর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ৭৫’ পরবর্তী সময়ে আমরা ২১ বছর উল্টো পথে হেঁটেছি।
সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের উদ্বোধন করেন এবং আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শনীর উদ্বোধন, নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন, দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিভাগরে ল্যাবসমূহ উন্মুক্তকরণ এবং শিক্ষকদের সাথে মতবিমিয় করেন।
উলে¬খ্য, ২০০৩ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এর অর্জনসমূহ সকলকে জানানো। দিবস পালন উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ