বিশ্ববাসি জানে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা এদেশের মানুষের উপরে ২৫ মার্চের কালো রাত্রি থেকে শুরু করে ৯ মাস ব্যাপি হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। ২৫ মার্চ রাতে সহ সারা দেশে ৯ মাস ব্যাপি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
আজ বিভিন্নভাবে এসকল গণহত্যাকে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা অস্বীকার করার চেষ্টা করছে। ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি দীর্ঘদিন ধরে ২৫ মার্চ কে গণহত্যা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই নির্মুল কমিটির এই দাবির সাথে সহমত পোষণ করে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছি আমরা। আমরা দাবি জানাচ্ছি ২৫ মার্চ কে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এই দাবীতে আজ বিকালে খুলনার ২৬ নম্বর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ ‘১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর নিজস্ব ভবনে এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও আলোর মিছিল কর্মসূচি পালন হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিব বাহিনী খুলনা অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডার মো: ইউনুচ আলী ইনু। সভাপতিত্ব করেন ‘১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ট্রাস্টি সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক অসিত বরণ ঘোষ, ডা. আনোয়ারুল আজাদ, অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, কবি বিষ্ণু পদ সিংহ প্রমুখ।
আলোচনার পর আর্কাইভের পক্ষ থেকে একাত্তরের ২৫ মার্চ গণহত্যায় শহীদদের স¥ৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোর মিছিল করা হয়। ডা. শেখ বাহারুল আলম তার বক্তব্যে বলেন ২৫ মার্চ কে গণহত্যা দিবস ঘোষণা না করার একটিও যুক্তি নেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে আগে ২৫ মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ, ইউনেস্কো সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে জনমত তৈরি করে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করতে হবে। তিনি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন, আগামীকাল ২৬ মার্চ থেকে ‘১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য আহ্বান জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ