বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এটা কেবল চাকুরী নয় বরং একটি মহান ব্রত। এই মহান পেশাকে কেবলমাত্র অর্থ উপার্জনের স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।
আজ সকালে সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে খুলনা মহানগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল, খুলনা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বলেন, একসময় শিক্ষকতা পেশায় সবচেয়ে মেধাবীরা আসতেন। কিন্তু বর্তমানে অনেকে শিক্ষক হওয়ার জন্য এ পেশায় আসেননি, তারা এসেছেন চাকুরীর দায় মনে করে। তাই শিক্ষা নিয়ে আজ শিক্ষকদের কমিটমেন্টের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা কোচিং সেন্টারের জন্য যতটুকু শ্রম দেন স্কুলের জন্য তার সিকিভাগও দেন না। তাই অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদেরকে কোচিং এ দিতে বাধ্য হচ্ছেন । এই সুযোগে কোচিং সেন্টারগুলো রমরমা বাণিজ্য করছে, আর শিক্ষার মান দিনদিন কমছে। তিনি বলেন, আমরা সার্টিফিকেট সর্বস্ব মানব সম্পদ তৈরি করছি। শিক্ষার্থীদের মানবিকতা সম্পন্ন দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি না। তারা মাদক ও জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারা শ্রেণী কক্ষে মনোযোগী হলে আমরা দক্ষ মানব সম্পদ যেমন পাব, তেমনি মাদক এবং জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারবো।
স্কুল চলাচালীন সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ অব্যহত থাকবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যদি কেউ নিয়মিত শ্রেণি কক্ষে অনুপস্থিত থাকে তাহলে তার অভিভাবককে তিনবার নোটিশ দিয়ে চুড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর টি এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান, র্যাব-৬ অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, দুদক পরিচালক ড. মোঃ আবুল হাসান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা এর অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আবুল হোসেন, কেএমপি’র সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোপীনাথ বিশ্বাস এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ