উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ সকল ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিকে গুরুত্ব দিতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন এখন চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। বিশ্ব আজ দ্রুত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, অপরদিকে এর কিছু নেতিবাচক দিক হিসেবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এজন্য বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আজ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমাদের যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ সকল  ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আজ সকাল ১১ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশগত দিকটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ অঞ্চলের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশর মধ্যে বসবাস করছে। পরিবেশের গুরুত্ব  বিবেচনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অত্যন্ত যুগোপযোগী। তিনি এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখনও সরকারি পরিবেশ দপ্তর বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে না বা ক্যাডার সার্ভিসে পরিবেশবিদ পদ সৃষ্টি হয়নি জানতে পেরে আশ্বাস দেন বিষয়টি তিনি যথাযথ ফোরামে তুলে ধরবেন এবং এ সমস্যা সমাধানে তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা চালাবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদেরকে কোয়ালিটি এডুকেশনে জোর দিতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রমের শুরু থেকে যেভাবে সুনামের সাথে শিক্ষার গুণগতমান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে এধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান এবং উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে মন্ত্রী তাঁর শুরুতে মহান স্বাধীনতার মাস মার্চের স্মৃতিচারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, এই মাসের শুরুতেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা নির্ধারিত হয়। তাই আজ জাতীয় সঙ্গীত শুনলেই আমরা একাত্তরে ফিরে যাই, আমরা আবেগে আপ্লুত হই। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. এম রকীব উদ্দিন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, প্রাক্তন গ্রাজুয়েট ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *