২০২১ সালের মধ্যে খুবি হবে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে আজ ১১জুলাই নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, নব্বই লাখ টাকার হেকেপ সাপ্লিমেন্টারি প্রকল্পের কার্যক্রম এবং বিসিএস বুক কর্ণার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গত কয়েক বছর ধরে যে প্রচেষ্টা চলছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুইশত কোটি টাকার যে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে তা শেষ হলে আগামী ২০২১ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হবে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়নের পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে অবকাঠামোগত অনেক সুবিধার সৃষ্টি হবে, ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে দৃষ্টিনন্দন।

ইউআরপি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মোঃ মুরছালীন মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য আরও বলেন, দুই দশক পর নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবং শিক্ষকদের সহযোগিতার ফলে ইউনিফাইড একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি বছর থেকে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি টার্ম শুরু হয়ে জুনে প্রথম টার্ম শেষ হয়েছে এবং আমরা লক্ষ্য করছি একাডেমিক ক্ষেত্রে একটি সুসমন্বিত পরিবেশ ফিরে এসেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন এবং এর সুফলও আমরা পরীক্ষার ফলাফলে লক্ষ্য করছি। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরও মনোযোগী ও প্রতিযোগী  হয়ে উঠেছে। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সরকার উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উপযোগী গ্রাজুয়েট তৈরি করার যে লক্ষ্য নিয়ে ইউজিসির মাধ্যমে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট হেকেপ প্রকল্প চালু করেছে সে ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রবর্তী অবস্থানে রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষর্থীসহ সবার প্রচেষ্টায় আমরা যে সম্মুখ যাত্রা শুরু করেছি তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং আমাদের অর্জনগুলো আরও সুসংহত করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনকে একটি প্রতিষ্ঠিত ডিসিপ্লিন হিসেবে এর সৃজনশীল কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, তাদের দেখাদেখি অন্যান্য ডিসিপ্লিনগুলো এ ধরণের প্রেরণামূলক কার্যক্রম শুরু করলে একাডেমিক ক্ষেত্রে আরও উৎকর্ষ লাভ সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, হেকেপ সাপ্লিমেন্টারি প্রকল্পের এসপিএম (সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার) প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম, প্রফেসর ড. শামীম মাহবুল হক। প্রধান অতিথি  স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের চারটি ব্যাচের এবং মাস্টার্সের একটি ব্যাচের প্রথম টার্ম পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারীসহ সেরা ব্যাচ হিসেবে (গোল্ডেন ব্যাচ)  এবং সেরা ওয়াই জিপিএর প্রাপ্ত ২৬জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাইজবন্ড ও সনদপত্র প্রদান করেন। এর মধ্যে গোল্ডেন ব্যাচ হিসেবে ৩য় বর্ষ এবং বছর সেরা জিপিএ (৪এর মধ্যে ৩.৭৮) পান ৪র্থ বর্ষের রোকেয়া আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সহকারী অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ। অনুষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ইউআরপি ডিসিপ্লিনের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার হেকেপ প্রকল্প লাভ করে। এই ডিসিপ্লিন ঐ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করায় এবং পরিপূরক অবশিষ্ট কার্য সম্পাদনে পেশকৃত সাপ্লিমেন্টারি প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি (নব্বই লাখ) টাকা বরাদ্দ করেছে হেকেপ। এই অর্থে ডিসিপ্লিনে ডিজাইন ল্যাব, ড্রোনের মাধ্যমে উপাত্ত সংগ্রহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম। তাছাড়া বিসিএস বুক কর্ণারে সহায়ক বইপুস্তক ও অন্যান্য তথ্যাদি পাবে বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *