খুলনায় ট্রেনের টিকিট কলোবাজারির সঙ্গে পাঁচজন কর্মচারীসহ আরো ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জড়িত রয়েছে- এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার। কালোবাজারি চক্রের হুমকিতে খুলনা জিআরপি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি। গতকাল বুধবার খুলনা জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ১৬ মে। সেখানে তিনি রেলের দুজন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ ৫ জন স্টাফের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ তুলেছেন। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নামে টিকিট নিয়ে কালাবাজারে বিক্রি করেন। অভিযোগের বিষয়টি আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, খুলনা রেলওয়ের দুজন সহকারী স্টেশন মাস্টার আশিক আহম্মেদ ও মো. জাকির হোসেন, কর্মচারী বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিস স্টাফ মো. জাফর মিয়া ও তোতা মিয়াসহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সরাসরি ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে ভুয়া টিকিটের চাহিদা দিয়ে সংগ্রহ করেন। টিকিট না পেলে বহিরাগত লোকদের ডেকে এনে সংঘবদ্ধ হয়ে স্টেশন মাস্টারকে (তাকে) হেনস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, তাদের টিকিটের চাহিদা এতোটা বেড়েছে যে টিকিট না পেলে স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধর করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। প্রকৃতপক্ষে রেলের কোন ভিআইপি টিকিট সংরক্ষিত নেই। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এ কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, টিকিট কালোবাজারিসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মকান্ড রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। মূলত স্টেশনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষের (ডিটিও পাকশি) নির্দেশেই থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি করার পর তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ