অস্ট্রেলিয়ার এশিয়া ডিভিশনের প্রধানের সঙ্গে খুবি উপাচার্যের বৈঠক

অস্ট্রেলিয়া সফররত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে এক বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার এশিয়া ডিভিশনের প্রধান গ্যারি ক্রাউন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় তাঁর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ম্যানগ্রোভ নিয়ে যৌথ গবেষণার বিষয় বৈঠকে গুরুত্ব পায়।
গ্যারি ক্রাউন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সুন্দরবনসহ জলবায়ু পরিবর্তন ও সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

উপাচার্য গ্যারি ক্রাউনকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বৈঠক শেষে উপাচার্য তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন। এসময় আইইউসিএন (এশিয়া অঞ্চল)’র সাবেক পরিচালক ড. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেনার স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোসাইটি আয়োজিত ফেনার সেমিনারে ‘সুন্দরবন-প্রকৃতির অনন্য উপহার’ শীর্ষক গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এই সেমিনারে অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী, গবেষক উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ওয়েন্ডি আম্বারগারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতকালে তিনি সুন্দরবনের ওপর বহুমাত্রিক গবেষণায় যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দিকের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ দিনের সফরে গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় সফরকালে তিনি রাজধানী ক্যানবেরা ছাড়াও সিডনি, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, কেয়ার্নস শহরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সেমিনারে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ বন পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়াও যৌথ গবেষণা ও প্রকল্প গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *