খুলনা শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ৪৫৬ কোটি টাকা অনুমোদন

খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে।

সম্ভাব্য প্রাক্কলিত মূল্য ৪৫৬ কোটি ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮৪ টাকা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (নির্মাণ শাখা) উপসচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এক দাপ্তরিক চিঠিতে প্রশাসনিক অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসনের পাঠানো স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে। এর ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সফরের আগে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানানো হয়। ২০১৯ সালে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর খুলনায় একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০২০ সালের ১৩ জুলাই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা-২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে পাস হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পান জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়া করা ভবনে শুরু হয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইনসংলগ্ন মাথাভাঙ্গা মৌজায় জমি বাছাই করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য সেখানে ১০০ একর জমির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। তবে কৃষি জমি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকায় ৫০ একর জমি ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, এই অনুমোদনের ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে গেল। তবে সংশ্লিষ্ট জায়গায় মাটির গুণগতমানের কারণে ওই স্থানে ৬ তলার অধিক উচ্চতর ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে সয়েল টেস্টিং রিপোর্ট পাওয়া গেছে। কিন্তু অধিক মাটির গভীরে গেলে ১৮তলা পর্যন্ত ভবন করা যাবে। সেইভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি মেডিক্যালবিষষক গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হবে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *