‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট সিটি: নগর পরিকল্পনার ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয় এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ আজকের স্বপ্ন, কিন্তু এটি আগামীর বাস্তবতা। আমরা উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়ন প্রক্রিয়া আরো পরিকল্পিত ও সমন্বিত হওয়া প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নগর গড়তে স্মার্ট পরিকল্পনার ভূমিকা অনেক। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং আবাসিক এলাকার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য স্মার্ট শহর গড়তে কার্যকর পরিকল্পনা ও নাগরিক সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বিদ্যমান নীতির প্রয়োগ ও মনিটরিং বৃদ্ধি করা দরকার। একই সাথে নগর পরিকল্পনা ও বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করা দপ্তরগুলোর কাজের সমন্বয় থাকতে হবে।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনাকালে অংশগ্রহণকারীরা জানান, স্মার্ট শহর গড়তে সরকার, অর্থনীতি, পরিবেশ, পরিবহন ব্যবস্থা, নাগরিক ও নাগরিকের জীবনমান স্মার্ট হতে হবে। নগর উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কার্বন নিঃসরন কমাতে হবে। আধুনিক শহরের জন্য অনেক পূর্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু নির্মানকাজের সময় যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সে জন্যও কাজ করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নগরের উন্নয়ন কাজের সাথে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র প্ল্যানার প্রভাষ চন্দ্র কুন্ডু’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির হোসেন ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক (ভৌত পরিকল্পনা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলি। নগর বিষয়ক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’র খুলনা চ্যাপ্টারের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা অফিসার আবির উল জব্বার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সালাহউদ্দীন। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের আধিকারিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ও নগর পরিকল্পনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন।
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ