কেডিএ কে জবাবদিহী প্রতিষ্ঠান করতে হলে জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত করতে হবে

কেডিএ (খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, অলাভজনক একটি সেবাদানকারী সংস্থা। এটিকে রক্ষা করতে হলে জবাবদিহি মূলক প্রতিষ্টানে রুপ দিতে হবে। জনপ্রতিনিধি দ্বারা এই প্রতিষ্টানটি পরিচালিত করতে হবে। খুলনার উন্নয়নের অর্থ খুলনার জন্য ব্যয় করতে হবে। ব্যাংকের গচ্ছিত ৪০ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকা,কক্সজার ও কুয়াকাটায় জমি ক্রয়ের জন্য কেডিএ’র যে সিদ্ধান্ত তা বাতিল করতে হবে। নতুবা খুলনাবাসী ফুসে উঠলে তার দায় কেডিএকে বহন করতে হবে- বললেন জনউদ্যোগ,খুলনার মানববন্ধনে নাগরিক নেতৃবৃন্দ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে ৪০ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকা,কক্সজার ও কুয়াকাটায় জমি ক্রয়ের জন্য কেডিএ’র যে সিদ্ধান্ত তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কেডিএ স্থবির অবস্থায় কচ্ছপ গতিতে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। তাদের হাতে খুলনার তেমন কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। নিকট অতীতে কিছু প্রকল্প বর্তমান সরকার অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ করলেও সেগুলো বাস্তবায়নেও তেমন কোন অগ্রগতি নেই।

ইতোমধ্যে খানজাহান আলী (রূপসা সেতু) থেকে রূপসা ফেরিঘাট মোড় পর্যন্ত ৪ লেন বিশিষ্ট একটি সড়কের অনুমোদন ও প্রায় একশ’ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ করলেও বিগত এক বছরেও কোন টাকা ব্যবহার হয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন,প্রকল্প অনুমোদন এবং অর্থ বরাদ্দের পর প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চললেও আহসানাবাদ আবাসিক এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ আজও শুরু হয়নি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পত্রিকায় দেখা যায়, কেডিএ কক্সজারে ও কুয়াকাটা এবং ঢাকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে ওই সমস্ত এলাকায় জমি কিনতে টেন্ডার আহবান করেছে। কেডিএ’র কাছে খুলনাবাসির প্রশ্ন- খুলনার টাকা কেন খুলনাকে বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় লগ্নি করা হবে ? কেডিএ কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, অলাভজনক একটি সেবাদানকারী সংস্থা। যদি পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য লগ্নি করতে হয় তাহলে অবশ্যই খুলনায় করতে হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য খুলনার নলিয়ানে সুন্দরবন ফরেস্ট অফিসের পাশে মনোরম পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। বক্তারা বলেন এ সকল বিষয়ে কেডিএ-কে অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগের আহবায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আ’লীগনেতা শ্যামল সিংহ রায়, জেপি নেতা শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন,আয়কর আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এসএম শাহনেওয়াজ, খুবি, চারুকলা’র শিক্ষক শেখ সাদী ভূইয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির মফিদুল ইসলাম, নারীনেত্রী রসু আক্তার প্রমুখ।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *