মাদক হচ্ছে সকল অপরাধের মূল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, মাদক হচ্ছে সকল অপরাধের মূল। মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয়, পরিবার তথা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিস মাহমুদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত অফুসার’র মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সম্পৃক্ততায় মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি নতুন স্থাপিত থানাগুলোর অফিসারদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান। ঘের দখল ও হারির টাকার জটিলতা নিরসনে নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্টদের তিনি নির্দেশ দেন।

সভায় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, মোস্তফা রশীদী সুজা, মিজানুর রহমান মিজান এমপি এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, র‌্যাব এবং কেএমপি’র প্রতিনিধিসহ কমিটির সংশ্ল্ল্লিষ্ট সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা, ডাকাতি ও মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে বিশেষ নজর রাখা, মাদক ব্যবসায়ীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেয়া, যানচলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ইজি বাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া, লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনাও দেয়া হয়।

গত জুলাই মাসে খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় রাহাজানি ৩টি, চুরি ১৭টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইনে ২টি, অস্ত্র উদ্ধার, ধর্ষণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১২টি, মাদকদ্রব্য ৫১টি এবং অন্যান্য ৪৯টি সহ মোট ১৩৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৪৩টি।

এ ছাড়া খুলনা জেলার নয়টি থানায় গত জুলাই মাসে ডাকাতি ১টি, চুরি ৮টি, খুন ৪টি, অস্ত্র আইনে ৩টি, অস্ত্র উদ্ধার(শার্টার গান-০২, বন্দুকের তাজা গুলি-০১,চাপাতি-০১,ছোরা-০১, ২২বোর গুলির পার কুশন ক্যাপ ব্যতীত সামনের অংশ-২৫ রাউন্ড, পাইপগান-০১, বন্দুকের কার্তুজ-০১ এবং খালি কার্তুজ-০২টি), ধর্ষণ ৫টি, অপহরণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৪৬টি, নারী ও শিশু পাচার ৭টি, মাদকদ্রব্য ১২টি এবং অন্যান্য আইনে ১১৫টি সহ মোট ২০২টি মামলা দায়ের হয়। গত জুন মাসে মামলা দায়ের হয়েছিল ২০৩টি।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *