শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ’র বিশেষ অনুষ্ঠান

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ “১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর চত্বরে” মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তান প্রফেসর ড. অনির্বান মোস্তফা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান এবং সভাপতিত্ব করেন ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এর ট্রাস্টি সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম।
প্রফেসর ড. অনির্বান মোস্তফা গণহত্যা-নির্যাতন সম্পর্কে বলেন, “বাংলাদেশে আজ যুদ্ধপরাধীদের বিচার হচ্ছে। একটি সময় ছিল যখন এটি কল্পনা ও করা যেতো না। বর্তমানে ১৯৭১ সালের মানবাতাবিরোধী রাজাকার-আলশামস এর ফাঁসি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও কাজটি অনেক কঠিন।”

আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, “ আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক। বিনম্রচিত্তে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করতে হবে। ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর-এর উদ্যোগে গণহত্যাস্থল, বধ্যভূমি, নির্যাতন কেন্দ্র চিহ্নিতকরণ ও স্মৃতিফলক স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এজন্য তিনি ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’- প্রতিষ্ঠার জন্য ডা. শেখ বাহারুল আলম সহ অন্যান্যদের সাধুবাদ জানান।

আলহাজ¦ মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, “স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ দেখার জন্য আহ্বান জানান। তিনি ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান। কারন এর মাধ্যমে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীদের এতো দিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যে ভুল ধারনা আছে তা ভেঙ্গে যাবে ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তারা সঠিক তথ্য জানতে পারবে।”
ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন,“বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে মুক্ষিযুদ্ধের আলোকে, মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে চেতনা জাগিয়েছিলেন তা বাস্তাবায়ন করার মাধ্যমে।”

এছাড়াও ডা. তুষার আলম, ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এর ট্রাস্টি হুমায়ন কবির ববি, হাজী আব্দুল মালেক ডিগ্রী কলেজ-এর অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, খুলনা বিএমএ সদস্য ডা. হাসান, সাধারন সম্পাদক জেলা শিল্পকলা একাডেমি মকবুল হোসেন মিন্টু বক্তৃতা করেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ‘১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’-এর ট্রাস্টি গৌরাঙ্গ নন্দী ও অধ্যক্ষ ড. আবুল কালমা আজাদ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘১৯৭১ ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’-এর কোষাধ্যক্ষ শংকর কুমার মল্লিক।
কবিতা আবৃত্তি করেন ডা. এস কে সাহা। আজ শাহরিয়ার কবিরের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামান্যচিত্র ‘ওয়ার ক্রাইম: ৭১’ দেখানো হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *