ইকো-ভিলেজসহ গ্রিন ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে খুবি

আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন সুন্দরবনস (সিআইএসএস) এবং বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপ্টমেন্ট সোসাইটি (বেডস)’র যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ইকো-ভিলেজ বা সবুজ গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প, ইকো এডুকেশন ও ইকো-বিজনেসের ধারণা প্রকাশ ও গৃহীত প্রকল্পের অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃয়া করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি বলেন পরিবেশসম্মত জীবন ব্যবস্থার জন্য ইকো-ভিলেজসহ গ্রিন ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সবধরণের সহযোগিতা দেবে। তিনি বলেন, ‘ইকো-ভিলেজ ধারণা অত্যন্ত চমৎকার এবং তা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ইকো-ভিলেজ, ইকো-এডুকেশন ও ইকো-বিজনেস বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদে বসবাসসহ জীবনযাপন করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন ইকো-ট্যুরিজমসহ এই অঞ্চলের সকল ধরণের সম্ভাবনা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার ভূমিকা পালন করবে। তিনি কোরিয়ান গ্রিন ফাউন্ডেশন প্রেসিডেন্টকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন পরিবেশ বিপর্যয় রক্ষায় বিভিন্ন দেশে তাঁর নেতৃত্বে কেজিএফ (কোরিয়ান গ্রিন ফাউন্ডেশন)’র কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি এ ফাউন্ডেশনের অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআইএসএসসহ সংশ্লিষ্ট সকল ডিসিপ্লিন কেজিএফ’র ধারণা ও কার্যক্রম থেকে উপকৃত হতে পারে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন সুন্দরবনস (সিআইএসএস)’র পরিচালক প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কেজিএফ’র প্রেসিডেন্ট ইয়ো চোই বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কেজিএফ প্রতিষ্ঠা ও কোরিয়ায় এ আন্দোলন কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সম্ভাবনাময় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন খুবির জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান। স্বাগত বক্তৃতা করেন বেডস’র নির্বাহী প্রধান মাকসুদুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন কেজিএফএর উপদেষ্টা প্রফেসর চেংউন লি। কেজিএফ সম্পর্কে পরিচিতিমূলক বক্তৃতা করেন জেমি কিম। পরে বেডস’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফেরদৌসী শারমিন গ্রিন বিজনেস এবং খুবির সহকারী অধ্যাপক ড. নিহার রঞ্জন সিংহ কারুপণ্যের সম্ভাবনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় প্রফেসর এ কে ফজলুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক মোল্যা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান অংশ নেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *