অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের কারণে বিভিন্ন সেক্টরে চলতি বছর ১ হাজার ২৪০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৫৪৪ জন শ্রমিক।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ১৫টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ওইসব তথ্য পেয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির। ওশির চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানা বলেন, ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ৩৫৯ জন প্রাতিষ্ঠানিক খাতে এবং ৮৮১ জন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করতেন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে পরিবহন খাতে। মোট ৪৮৬ জন শ্রমিক এ খাতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৪৭ জন নির্মাণ খাতে, ৮৮ জন পোশাক শিল্পে, কৃষিতে ৮৭ জন, এদের মধ্যে বজ্রপাতেই ৫৫জন নিহত হয়েছে। আবার ৬৯ জন দিনমজুর, ৪৭ জন কারখানা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর নিখোঁজ রয়েছেন ৩জন। অন্যদিকে ৩৩ জন গৃহকর্মী, ২৩ জন জাহাজভাঙ্গা শিল্পে, ৪৪ জন মৎসচাষী ও জেলে নিহত হয়েছেন। পবিরহন খাতের ভয়াবহতা তুলনা করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে এ খাতে ৩৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আর ২০১৬ সালে নিহত হয়েছেন ৪৮৬জন। দিনদিন এ খানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বিষয়টি উদ্বেগের। সাকি রেজওয়ানা বলেন, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুর হার কমাতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, শ্রম-কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু, পোশক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য পৃথক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ