আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর একাডেমিক ভবনে এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন এন্ড কমিউনিকেশন ল্যাবরেটরির (কৃষি সম্প্রসারণ ও যোগাযোগ গবেষণাগার) উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি ল্যাবের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং সেখানে আয়োজিত উদ্বোধনী সভায় তিনি বলেন, ‘সত্যিকারঅর্থে দেশে এখন কোনো খাদ্যের অভাব নেই। স্বাধীনতাত্তোরকালে কৃষি ক্ষেত্রে অব্যাহত সাফল্যের কারণে খাদ্য উৎপাদনে আমরা জাপানকে অতিক্রম করেছি। এর পেছনে কৃষি শিক্ষা, গবেষণা তথা কৃষি বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য।’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি নির্ভর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন আগের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে সম্প্রসারণ ও যোগাযোগ গবেষণাগার এ ক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নতুন এই গবেষণাগার স্থাপনে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রধানসহ ডিসিপ্লিনের শিক্ষকদের প্রচেষ্টার জন্য তিনি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ডিসিপ্লিনের মাঠ গবেষণাগারের জায়গার স্বল্পতা এবং জলাবদ্ধতার কারণে অনেক গবেষণা প্রকল্প বিনষ্টের সম্মুখীন বলে ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার অনুরোধ জানালে সে প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাশন সুবিধার অভাব রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থিত লেকটির পানি নিষ্কাশন পথের বাইরে ময়ূর নদী সংযোগস্থলে অবৈধ্য স্থাপনার কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তবে সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যান্ড স্কেপিং করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে জমি উচু করার প্রকল্প নেয়া হবে এবং পানি নিষ্কাশন সুবিধা সৃষ্টি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে মাঠ গবেষণাগারের জন্য এবং ভবিষ্যত সম্প্রসারণে আরও ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যত সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় আরও জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হবে। এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ ইয়াছিন আলী, প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মোস্তফা কামাল। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ