খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের মাঠ গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা পরিষদ প্রশাসক

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনর রশীদ আজ বেলা ১২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু গাইন ফিল্ড ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। তিনি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-গবেষকদের বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম বিশেষ করে জারবেরা রিসার্চ সেন্টার, কমলা লেবু, আঙ্গুর, সৌদি খেজুর, এলাচি, ড্রাগন ফল, চিংড়ির মাথা ও খোলস দিয়ে উন্নতমানের মুরগীর খাবার তৈরি প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হন।

খুলনাঞ্চলের কৃষির বিকাশে এসব গবেষণা কার্যক্রম প্রভূত উপকারে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব মূল্যবান মাঠ গবেষণাগার জলাবদ্ধতার কারণে বিনষ্টির সম্মুখিন দেখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মাঠ গবেষণাগারের জায়গা ভরাটের জন্য তার পক্ষ থেকে সম্ভব সহায়তার আশ্বাস দেন।

এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি নিস্কাশনের পথ না থাকায় এবং তা অবৈধ দখলদারদের অবকাঠামোর কারণে বন্ধ হয়ে আছে জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি পরবর্তী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় তুলে ধরার আশ্বাস দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন । তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ গবেষণাগারের জায়গার অভাব রয়েছে। তা সত্ত্বেও শিক্ষক-গবেষকরা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের মূল্যবান গবেষণা জলাবদ্ধতার কারণে বিনষ্টের সম্মুখিন। এর প্রধান কারণ ময়ূর নদীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি নিস্কাশনের প্রধান নিস্কাশন খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেলা প্রশাসনকে একাধিক সময় পত্র দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

উপাচার্য বলেন, নিচু জমি ভরাট করে আপাতত মাঠ গবেষণাগার রক্ষা জরুরী হয়ে পড়েছে। এর আগে জেলা পরিষদ প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় জেলা পরিষদ প্রশাসক বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলছে। তিনি বলেন, এটি আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ১৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, “জারবেরা রিসার্চ সেন্টারে টিস্যুকালচারের মাধ্যমে চারা উৎপাদনে সাফল্য ছাড়াও আমরা নতুন ১১টি জাত উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছি। এগুলোর ব্যাপরে আমরা প্যাটেন্ট চাইতে যাচ্ছি। উপাচার্য জেলা পরিষদ প্রশাসককে সাথে নিয়ে জারবেরা রিসার্চ সেন্টারে পৌঁছিলে প্রফেসর মনিরুল ইসলাম তাদেরকে জারবেরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এ সময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ ইয়াছিন আলী, প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস,প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *