খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন স্থপতিদের দুদিনব্যাপী সৃজনশীলকর্ম প্রদর্শনী গতকাল শেষ হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিন থেকে সদ্য পাস করা ২৮জন নবীন স্থপতির থিসিসভিত্তিক ২৮টি প্রজেক্টের মডেল প্রদর্শিত হয়।
মোট চারটি ভাগে স্থাপত্যকর্মের এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ডেল্টায়িক আর্কিটেকচার শিরোনামে এ প্রদর্শনীতে ছিলো ট্রপিক্যাল আর্কিটেকচার, পিপলস আর্কিটেকচার, আর্কিটেকচার পর চেঞ্জ, আর্কিটেকচার ফর অল।
দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রস্তাবিত এবং সম্ভাবনাময় অবকাঠামো কেমন হতে পারে, কি ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে, এসব অবকাঠামো নির্মাণের গুরুত্বসহ যৌক্তিক অনেক দিক এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপকল্প ও রূপায়ন সম্ভাবনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে খুলনা মাল্টি মডেল ট্রান্সপোর্টেশন টার্মিনাল, মেহেরপুরের মুজিবনগর ল্যান্ডপোর্ট, কক্সবাজারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, পিরোজপুরের আটঘর-কুড়িয়ানার ফ্লোটিং মার্কেট, দিনাজপুর সিভিক সেন্টার, বরেন্দ্র ফোকলর কমপ্লেক্স, রাজশাহী, খুলনার বটিয়াঘাটায় সুন্দরবন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, মংলার জয়মনিতে বড় জাহাজ নির্মাণের জন্য শিপয়ার্ড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল টেকনোলজি খুলনা, ফাইভ স্টার ইন্টারন্যাশনাল হোটেল খুলনাসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক মডেল প্রভৃতি।
এর মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন স্থপতিদের মেধা, দেশ ও সমাজ ভাবনা ও দক্ষতার নিপুন নান্দনিকতা ফুটে উঠেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ‘আর্ক কেইউ ডিগ্রি শো-২০১৬’র উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এর পর দেশ বিদেশের অনেক বিশিষ্টজন এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখে ভূয়শী প্রশংসা করেছেন।
প্রদর্শনীর শেষ দিনে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদসহ শিক্ষক, গবেষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট সবাই খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের নবীন স্থপতিদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন নবীন স্থপতিরা তাদের স্থাপত্যকর্ম দিয়ে বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ