শোভাযাত্রা, মেলা, পিঠা উৎসব, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় পহেলা অগ্রহায়ণ খুলনায় পালিত হয় নবান্ন উৎসব ১৪২৩। এ উপলক্ষে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে দিনব্যাপী মেলা ও পিঠা উৎসব এর আয়োজন করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে সকালে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, নবান্ন উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির সার্বজনীন ঐতিহ্য। পহেলা অগ্রহায়ণকে নবান্ন উৎসব হিসেবে ঘোষণা করছে সরকার। আগামী বছর আমরা কোন এক গ্রামে চলে যাবো বটগাছের নিচে বসে নবান্ন উৎসব করতে। সে টি হবে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া। তিনি আরও বলেন, হেমন্ত ঋতু হলো এমন এক ঋতু, হলুদ হেমন্ত। যখন হেমন্ত ঋতু আসছে, তখন বাংলাদেশ হাসছে এবং কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। কারণ ফসলে দেশ ভরে উঠছে। আমাদের দেশ হচ্ছে কৃষি ভিত্তিক সমাজ। মানুষের প্রথম পেশা হলো কৃষি এবং আদিম সভ্যতা। সুগন্ধি চাল বেশি বেশি চাষ করে আমরা বিদেশে পাঠাতে পারি। নবান্ন বাঙালি জাতির অন্যতম উৎসব। লোক ঐতিহ্য এবং লোক সংস্কৃতি নির্ভর আমাদের সংস্কৃতি যাতে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে হারিয়ে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাঙালি জাতি শেঁকড়ের সন্ধানে খুঁজে পেতে সার্বজনীন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলার মানুষের অন্যতম নবান্ন উৎসব হিসেবে প্রচলিত রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং কৃষি স¯প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী (অফিসার এবং কেরাণী) এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ