বৃটিশ কাউন্সিলের পরিচালক বারবারা উইকহামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ সকাল সাড়ে দশটায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
তাঁরা পার্টনারশিপ, ফেলোশিপ প্রোগ্রামসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। উপাচার্য বলেন, খুলনায় এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি কলেজ ও স্কুলের সংখ্যাও অনেক। তাই এখানে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ল্যাংগুয়েজ প্রফেসেন্সি অর্জনে বৃটিশ কাউন্সিল পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করতে চায়। কিন্তু খুলনায় বৃটিশ কাউন্সিলের কোন সেন্টার না থাকায় সুযোগের অভাবে অনেকেই তা পারছে না। খুলনায় বৃটিশ কাউন্সিলের সেন্টার বা ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন করা খুবই জরুরী এবং তা করতে চাইলে বৃটিশ কাউন্সিলকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জায়গা করে দেয়া হবে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার গুণগতমান অর্জনে হেকেপ পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচি এবং সাম্প্রতিক বৃটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর এবং লিভারপুল জন মোরস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ চুক্তির চূড়ান্তকরণের বিষয়, ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি ও ল্যাবরেটরি ভিলেজসহ বিভিন্ন গবেষণামুখি প্রকল্প এবং গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। বৃটিশ কাউন্সিলের পরিচালক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমুখি শিক্ষা কার্যক্রম এবং গুণগত মানোন্নয়নে প্রচেষ্টা এবং বায়োটেকনোলজিসহ বিভিন্ন যুগোপযোগী এবং প্রয়োজনমুখি শিক্ষা বিষয়ের প্রশংসা করেন। তিনি বৃটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাদের সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বিশেষ করে পার্টনারশিপ, ফেলোশিপ প্রোগ্রামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও সম্পৃক্ততা প্রত্যাশা করেন। তিনি ল্যাব্রেটরি ভিলেজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেটিভ বিভিন্ন কর্মসূচিরও প্রশংসা করেন। এ সময় বৃটিশ কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশীয় প্রধান মো. তৌহিদুর রহমান, ডেপুটি কান্ট্রি এক্সাম ম্যানেজর নাসরীন সুলতানা এবং খুবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুরসালিন বিল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। পরে বৃটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিদল বায়োটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের একটি ইনেস্পায়ার প্রজেক্টের উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ