খুলনা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা বা¯তবায়নে মতবিনিময় সভা আজ বিকেলে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
সভায় জানান হয়, খুলনা মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলাতে ভিক্ষুকদরে জরিপ কাজ গত ৩১ আগস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এতে তিন হাজার দুইশ ৮৬ জন ভিক্ষুক পাওয়া যায়। জরিপ অনুযায়ী খুলনা মহানগরীতে ৮১৪ জন এবং রূপসায় ২৬৩, তেরখাদায় ৩০৩, দিঘলিয়ায় ২৬৪, ফুলতলায় ৩১২, ডুমুরিয়ায় ৫৭৮, বটিয়াঘাটায় ৫২, দাকোপে ৮২, পাইকগাছায় ২৫৭ ও কয়রা উপজেলায় ৩৬১ জন ভিক্ষুক রয়েছে। এদের মধ্যে শারীরিকভাবে অক্ষম, পঙ্গু, ভবঘুরে,অন্ধ ও পাগল রয়েছেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এসব ব্যক্তিদের ডাটাবেজ করা হবে। যার শক্তি সামর্থ আছে তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে। এক্ষেত্রে একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রায়ন, জমি আছে ঘর নেই এসব প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া অর্থ সাহায্য এবং গরু-ছাগল প্রদানের মাধ্যমেও ভিক্ষুকদের আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগী করতে হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচী’ নামে সোনালী ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখায় ৩৩০১৭২৫৫ নম্বরের হিসাব খোলা হয়েছে। এ হিসাবে তাদের পুনর্বাসনে অর্থ জমা দেয়া যাবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ। অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবার টিপু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল মিয়া শামসুজ্জামান স্বপন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম এবং খুলনা টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ সালেহ প্রমূখ।
বক্তারা ভিক্ষাবৃত্তিকে ঘৃণ্য পেশা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করা সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তির কারণে মর্যাদা হারাচ্ছে। তাছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি নিকৃষ্ট পেশা। তাই শুধু ভিক্ষুক পুনর্বাসন নয় বরং বিবেকবান ব্যক্তিদেরও উচিৎ ভিক্ষা দেয়ার প্রবণতা পরিহার করা।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ