খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং কাজের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসনে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভাপতি রূপসা, তেরখাদা এবং দাকোপ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করা এবং কয়রা উপজেলায় স্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহণের অনুরোধ জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, খুলনা জেলার ভুতিয়ার বিল এবং সলিমপুর-কোলাবাসুখালি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিস্কাশন প্রকল্প (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় আঠারোবাকী নদীর ০২.২৫০ পূর্ব কিঃমিঃ পূন:খনন, ৭ কিঃমিঃ ড্রেজিং, ৫টি রেগুলেটর এবং ৩.১১২ কিঃমিঃ প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবাধীন আছে। এছাড়া কোদলার বিল এবং মসুন্দিয়া বিলে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) পরিচালনা এবছর করা হবে। ইতোমধ্যে ২৯.১৫০ কিঃমিঃ চিত্রা নদী পুন:খনন কাজ শেষ হয়েছে। কালিয়া উপজেলায় ১৪৮০ কিমিঃ প্রতিরক্ষা কাজ, ২২ কিমি আঠারোবাকী নদীর ৮০ শতাংশ কাজ, ৬ টি খাল পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুন-২০১৮, মোট অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। ভদ্রা-সলিতা নদী পুন:খননের লক্ষ্যে সম্প্রতি একনেক থেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ভদ্রা নদী ডুমুরিয়া-তেলিগাতি পর্যন্ত ৯.৮০ কিঃমিঃ, ভদ্রা নদী ডুমুরিয়া-দিঘলিয়া পর্যন্ত ১১.৭০ কিঃমিঃ, সালতা নদী ডুমুরিয়া- টিয়াবুনিয়া পর্যন্ত ৯ কিমিঃ। তেলিগাতিতে ১টি ও দিঘলিয়ায় ১টি (প্রতিটি ১০ ভেন্ট) স্লুইস গেইট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় সিভিল সার্জন জানান, সারাদেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ডাক্তারদের সমভাবে বন্টন করার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, অচিয়েই এটি বস্তবায়িত হবে। যেখানে বেশি ডাক্তার সংকট সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে ডাক্তার পদায়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুলনার তেরখাদা ও কয়রার দুরবর্তী অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্ঠীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেখানে চিকিৎস্যা সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।
সভাপতি জানান, আইনানুযায়ী কোন খাল-জলমহল একসনা বন্দবস্ত দেয়া যাবে না। সে সব খাল-নদী বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পুন:খনন করে সেই মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করার জন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেন। যাতে এসব জলাশয়ের পানি শুস্ক মৌসুমে সাধারণ জনগণের প্রয়োজনে মেটায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, কোন চাঁদাবাজিকে প্রশ্রায় দেয়া যাবে না। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি কিছু প্রতারকচক্রের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন।এরা আনেক সময় ভুক্তভোগীর নিজ পরিবারের লোকদের মোবাইল নম্বর নিয়ে তাৎক্ষনিক টাকা পাঠাতে বলে, এটি এক ধরণের ফাঁদ। বিষয়টি যাচাই না করে কেউ টাকা পাঠাবেনা।
সভার শেষে স্ব-স্ব দপ্তরের ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত হালনাগাদ করণ এবং ইনোভেশন কার্যক্রম জোরদার করতে সভাপতি অফিসারদের অনুরোধ জানান।
সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, সিভিল সার্জন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার, কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কেডিএর সচিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ