‘চাকুরিজীবীদের পে-রোল ট্যক্স নির্ধারণ ও আয়কর রিটার্ন পূরণ’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা আজ বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আয়করের আওতাভুক্ত সকলকে কর দিতে হবে। রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রাষ্ট্র প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্কুলফিডিং কর্মসূচীসহ জনকল্যাণে নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। সরকারের একার পক্ষে এ সকল কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, তাই স্ব-উদ্যোগে আমাদের কর প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার মোঃ ইকবাল হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। সভায় খুলনা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর কমিশনার জানান, সকল শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীদের শুধুমাত্র বেতন এবং উৎসব ভাতা করের আওতায় আসবে। ১০ম গ্রেড বা তদুর্ধ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীকে করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে ঞওঘ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ১৬ হাজার টাকার মূল বেতন গ্রহণকারী কর্মচারীরও আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। পুরুষ কর্মচারীর আয় যদি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মহিলা কর্মচারীর আয় যদি তিন লাখ টাকা অতিক্রম করে তবে তাকে আয়কর দিতে হবে। আয়করের টাকা প্রতিমাসের বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কর্তন করতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঁচ হাজার, অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে চার হাজার এবং অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত কর্মচারীদের তিন হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয়কর প্রদান করতে হবে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রদত্ত করের রিটার্ন দাখিল হবে পরবর্তী অর্থ বছরে। সিটি কর্পোরেশনসহ খুলনা বিভাগের আওতাধীন সকল জেলার সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট থেকে কর্তিত আয়কর কর অঞ্চল-খুলনা’র ১-১১৪১-০০৫৫-০১১১ কোড নম্বর এ জমা প্রদান করতে হবে। তিনি আরও জানান, আগামী ১ থেকে ৭ নভেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত বয়রাস্থ কর ভবনে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় আয়কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ