মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কুষ্টিয়া অঞ্চল মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন এবং গাভী পালনে ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করছে, এ অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ৬ নভেম্বর দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে গবাদিপশু এবং হাঁসমুরগী খামারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গবাদিপশুর বর্জ্য থেকে এ বছর প্রায় ২শ কোটি টাকা আয় করেছে কৃষি বিভাগ। সঠিকভাবে বর্জ্য সংরক্ষণ করা গেলে এ থেকে কোটি কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব। দুই বছর কুরবানিতে কোন পশুর সংকট হয়নি এবং প্রায় ১০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত ছিলো। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারে মূল লক্ষ্য হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রমহানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি দেশে নিরাপদ দুধ, ডিম ও মাংসের যোগান নিশ্চিতকরণের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিত করতে নানামুখী কর্মসূচী বা¯তবায়ন করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ জহির রায়হান এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় সিসিম এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ডাঃ মোঃ নিজাম উদ্দিন। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আছাদুল হক।
মতবিনিময় সভায় কুষ্টিয়া জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার খামারীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী কুষ্টিয়া মৎস্যজীবী লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। পরে তিনি শিলাইদহে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ী এবং ফকির লালন শাহ’র আখড়াবাড়ি পরিদর্শন করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ