পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করে উল্টে প্রচ্ছন্ন হুমকি প্রদান

বকেয়া পাওনা পরিশোধ না কেরে উল্টে কর্তৃপক্ষের মিটিং-মিছিলের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিলস সিবিএ ননসিবিএ ঐক্য পরিষদ’র উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব এস এম জাকির হোসেন বলেন, পাটকল রক্ষা এবং পাটকল শ্রমিকদের বিভিন্ন বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে পাঁচ দফার আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। আন্দোলন তীব্র হলে প্রধানমন্ত্রী পাটকল ও পাটকল শ্রমিকদের স্বার্থে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন যা শ্রমিকরা আজও পায়নি।

তিনি বলেন, গত ১৩ এপ্রিল পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী শ্রমিক নেত্রিবৃন্দের সাথে এক বৈঠকে ঘোষণা দেন যে ২৫ এপ্রিরের মধ্যে পাট ক্রয়ের অর্থ, চাকুরী হারা শ্রমিকদের পাওনা এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল বকেয়া পাওনা পরিষোধ করা হবে, কিন্তু অদ্যাবধি সে প্রতিশ্রুতি রাক্ষা হয়নি, ফলে একদিকে যেমন শ্রমিক-কর্মচারীরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে অন্যদিকে পর্যাপ্ত পাট ক্রয় না করায় মিলগুলির উৎপাদন নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারের সকল বিভাগের কর্মচারীদের বেতন-বোনাস প্রদান সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু ৮৫ হাজার পাটকল শ্রমিকদের বেতন-বোনাস তো দূরের কথা বকেয়া পাওনা পরিশোধেরই কোন নিশ্চয়তা নেই, এমন কি বিজেএমসি’র নিকট পাওনা পরিশোধের দাবি জানানো হলে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে এবং পাওনা আদায়ের জন্য যাতে মিটিং-মিছিল না হয় তার জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। আসন্ন মৌসুমের পাট ক্রয়ের টাকা প্রদান করতে হবে। মজুরী কমিশন সহ পাঁচ দাফা ফয়সালা করতে হবে এবং চাকুরিচ্যুত ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনের টার্মিনেশন প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, উল্লিখিত দাবি পুরণ না হরে অচিরেই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করা হবে।

বর্তমানে মিলগুলির উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় কি পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্লাটিনাম জুট মিলস’র উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিদন ৭০ টন, তবে বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ২২ টন, ইষ্টার্ন জুট মিলস’র ক্ষমতা ২৭ টন কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৫ টন এবং কার্পেটিং জুট মিলস’র উৎপাদন ক্ষমতা ৮ টন কিন্তু উৎপাদন হচ্চে মাত্র আড়াই টন। আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন শুধু খুলনা-যশোর এলাকার শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাই প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *