মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল এ দেশের মানুষের জন্য, দেশের মাটির জন্য। তিনি এ দেশকে ভালোবেসেছিলেন, চেয়েছেন দেশের মঙ্গল।
তিনি আজ সকালে খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বাঙালী জাতির জাতীয়তাবোধ এবং বাঙালী জাতিকে সংঘবদ্ধ করে ২৩ বছরে জাতিকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলেন যা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সহায়তা করে। সারাবিশ্বে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টির মূল কারখানা হচ্ছে পাকি¯তান। আমরা পাকি¯তান থেকে মুক্ত হয়েছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। এটা আমাদের সৌভাগ্য। বর্তমানে পাকি¯তান থেকে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে। এখন জাতির দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় দেশে যে সামগ্রীক উন্নয়ন, ডিজিটাল যুগে প্রবেশ এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে তা কোন সময়ে হয়নি। তিনি আরও বলেন, ৭৫‘র পরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তো আলোচনা করাই হয়নি বরং মুছে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। আর সে চেষ্টার ফসল হচ্ছে জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাস। আমাদের অ¯িতত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্যই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। যে জাতি তার অতীত ইতিহাস জানে না এবং শ্রেষ্ঠ সšতানদের সম্মান দেয় না সে জাতি বেশী দূর যেতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু এ প্লাস নয়, সাথে সাথে দেশপ্রেম এবং দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐহিত্যকে ধারণ করতে হবে, বিভিন্ন গুণীজনের জীবনী জানতে হবে। কোন দেশপ্রেমিক মানুষ কখনও দেশের ক্ষতি করতে পারে না। আর দেশপ্রেমিক হতে গেলে বঙ্গবন্ধুকে বেশি করে জানতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান অতিথি এ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং আট জন যুব ঋণ গ্রহীতার মাঝে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের চার লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ