ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরীর প্রতিবাদে খুলনা দিঘলিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র সদস্যগণ গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দিঘলিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড’র ডেপুটি কমান্ডার কামরুজ্জামান বলেন, দিঘলিয়ার গাজীরহাট ইউনিয়নের বাকা মোল্লার ছেলে মোঃরিয়াজুর ইসলাম এবং মৃত আকরাম তরফদারের ছেলে রাব্বিল তরফদার মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পুলিশের সিপাহী পদে মনোনিত হয়ে বর্তমানে বরিশাল এপিবিএন ট্রেইনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রহণ করছে, কিন্তু তাদের পিতারা কেহই মুক্তিযোদ্ধা নয়।
তিনি বলেন, দিঘলিয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেট সহ অন্যান্য কোন গেজেটেই বাকা মোল্লা ও মৃত আকরাম তরফদারের নাম নেই আর সেটা থাকাও সম্ভব নয় কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের বয়স ছিলো ৬/৭ বছর মাত্র। বর্তমান ভোটার তালিকাতেও বাকা মোল্লার জন্মতারিখ উল্লেখ ১৯৬৫ সাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সকল বিষয়ে ভূতপূর্ব পুলিশ সুপার এবং বর্তমান দিঘলিয়া থানার ওসি(তদন্ত)কে জানানো হলে তারা ঘটনাটি তদন্ত করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেলেও অজ্ঞাত কারণে দোষিদের বিরুদ্ধে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি অথবা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়েও কোন সুপারিশ পেরণ করেন নি!
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশের আইজি, খুলনার ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেরা প্রশাসক সহ অন্যান্যদের নিকট অভিযোগ আকারে প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নি।
তিনি বলেন, উল্লিখিত মোঃরিয়াজুর ইসলাম ও রাব্বিল তরফদা কে অতিসত্বর পুলিশের সিপাহী পদ থেকে বহিস্কার ও তাদের পিতাদের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থ্ াপ্রশাসনকে গ্রহণ করতে হবে এবং যে সকল সরকারী কর্মচারীরা (তদন্তের পরও) তাদের নিকট তেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের সাহায্য করছে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহ বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ