ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ প্রচার উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, ভোক্তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ভোক্তাদেরই সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ভেজাল আমাদের স্বভাবে, রক্তে মিসে গেছে, ভেজার হচ্ছেন ব্যাপক ভাবে যা আমাদের জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং অল্প বয়সের মানুষেরাও মারাত্মক সব রোগে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। ভেজালকারিরাও আমাদের দেশের মানুষ, কত আর শাস্তি দেওয়া যায়।
আজ বিকাল ৩ টায় জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এবং ক্যাব খুলনা’র আয়োজনে খুুলনা সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ প্রচার উপলক্ষ্যে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ক্যাব খুলনা’র সভাপতি এড. মোঃ এনায়েত আলী এবং খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহ-সভাপতি গোপী কিষন মুন্ধড়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মোঃ গোলাম আজম, সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির ববি। সেমিনারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ প্রচার ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত প্রদান করেন এবং কিভাবে এই প্রচারনা আরো ফলপ্রসূ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করে।
বক্তারা মনে করেন, আইনের নমনিয়তা ও শাস্তির শিথিলতাই ভেজালকারিদের উৎসাহিত করছে। ভেজালকারিদের কারসাজিতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, অথচ ভেজালের সর্বোচ্চ শাস্তি হ’ল ২লাখ টাকা জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল! উপস্থিত বক্তারা মনে করেন এ ধরনের নমনিয় আইন দিয়ে ভেজালের মত লাভজনক মারাত্মক ব্যবসাকে ঠেকানো সম্ভব নয়। ভেজার রোধ করতে হলে আরও কঠোর আইন করতে হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ